আকাশের বুক চিরে নামে ঝুমুরঝুমুর বৃষ্টি,
কুয়াশার ভাজ অন্ধকার ঘর যায় না মেলা দৃষ্টি।
বৃষ্টিরা আজ খই ভাজে দ্যাখ্ টিনের চালের পরে,
দমকা বাতাস আঘাত হানে দুখিনি মার ঘরে।
গাছ গুলো দ্যাখ্ কেমন করে জলের ছোঁয়ায় হাসে,
শিকড় বাকল মাটির টিলা বৃষ্টি জলে ভাসে।
খাল বিল ডোবা নদী নালা ভরে যাচ্ছে জলে,
ব্যাঙেরছাতা ভেসে গেলো জলের রাশির দলে।
মুখ খুলেছে গোলাপ জবা মেঘের কানাকানি,
গোলাপ জানে তারি সুখ ভাই আমরা কি সব জানি?
উচাটনে মাছের খেলা জলের স্রোতে আসে,
পুটি মাছের গায়ে দেখো সিঁদুর টানা ভাসে।
কাঁথার বুকে লুকিয়ে পড় ওরে দস্যি ছেলে,
এখন যাসনে বাহিরে তুই দ্যাখ্ জল কেমন খেলে।
কলার পাতা ঝড়ে চিরে হাওয়ায় ওঠে দুলে,
পাখির বাসা জলে ভেজে দাঁড়াবে কোন কূলে ?
মেঘের পালক ঝরে পড়ে বাংলার উঠান জুড়ে,
বৃষ্টির জলে মাটি চিরে ওঠে বৃক্ষ ফুঁড়ে।
সবুজ ঘেরা গাছের পরে ডানা মেলে আকাশ,
জলে ভাসে কদম ফুলের মিষ্টি লাগা সুবাস।
বার বার আসুক মেঘের পালক আকাশের বুক বেয়ে,
চাষির মুখে ফোটে হাসি বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে।