Tuesday, May 29, 2018
Wednesday, May 23, 2018
অনন্ত যাত্রা
কবি-মাসুদ পারভেজ
সেদিন এই চোখে আর সকাল হলো না,
চোখ হাত পা দেহ তোমাকে খুঁজল না।
সংসারে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলায়
শেষ ঠিকানা গোরস্থানের কোন এক কোণায়।
-
শূণ্য বিভীষিকাময় তিমির রাত্রির ঘরে,
ব্যস্ত যাপিত জীবনের সব হিসেব নিয়ে।
চোখ হাত পা দেহ তোমাকে খুঁজল না।
সংসারে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলায়
শেষ ঠিকানা গোরস্থানের কোন এক কোণায়।
-
শূণ্য বিভীষিকাময় তিমির রাত্রির ঘরে,
ব্যস্ত যাপিত জীবনের সব হিসেব নিয়ে।
তোমাদের আকাশে যখন মেঘ রিমিঝিমি বৃষ্টি ,
আমার চারিপাশে অভিশাপ্ত আগুন আর আগুন;
আমি জ্বলছি আর জ্বলছি;
অসহায়ত্বের চিৎকার তোমাদের কানে পৌঁছেনি;
তোমাদের হাসি থামেনি।
-
তোমাদের কে অবহেলা আর অপূর্ণতার দীর্ঘশ্বাস_
বিষাক্ত সাপের একেকটি ছোবল,
প্রবল আজাবের হাতছানি ।
আমি জানি,আমি কখনোই ক্ষমার যোগ্য নই।
-
তবে তার তরী নেই, যার তীর নেই, কুল নেই।
মুকুলে যার ধরেছে অসুখ, কিসে তার সুখ।
এপার ওপার কেহ নেই তার একটু সুখ সাধ বার।
-
আমি তোমার ছিলাম না, তোমাদেরও না;
নিয়মের ছিলাম না, কখনো নিয়মেও না।
এপার ওপার কেহ নেই, নেই বা কোন মাত্রা,
অনন্ত অভিশাপ নিয়েই আমার অনন্ত যাত্রা।
আমার চারিপাশে অভিশাপ্ত আগুন আর আগুন;
আমি জ্বলছি আর জ্বলছি;
অসহায়ত্বের চিৎকার তোমাদের কানে পৌঁছেনি;
তোমাদের হাসি থামেনি।
-
তোমাদের কে অবহেলা আর অপূর্ণতার দীর্ঘশ্বাস_
বিষাক্ত সাপের একেকটি ছোবল,
প্রবল আজাবের হাতছানি ।
আমি জানি,আমি কখনোই ক্ষমার যোগ্য নই।
-
তবে তার তরী নেই, যার তীর নেই, কুল নেই।
মুকুলে যার ধরেছে অসুখ, কিসে তার সুখ।
এপার ওপার কেহ নেই তার একটু সুখ সাধ বার।
-
আমি তোমার ছিলাম না, তোমাদেরও না;
নিয়মের ছিলাম না, কখনো নিয়মেও না।
এপার ওপার কেহ নেই, নেই বা কোন মাত্রা,
অনন্ত অভিশাপ নিয়েই আমার অনন্ত যাত্রা।
Tuesday, May 15, 2018
দখিন হাওয়া
কবি-ইউসুফ আউলিয়া
বেলা নেমে এলো আঁধার ছেয়েছে আমাদের এই ঘরে,
দখিন হাওয়া কেঁপে কেঁপে ওঠে নিভে যায় বাতি ডরে।
প্রজাপতি পরি দুটি পাখা মেলে ছুটে চলে দলে দলে,
চোখে পড়ে ছায়া আকাশের মেঘ আমাদের কালো জলে।
ধানের গন্ধে হৃদয়টা ভরে আকুল ব্যাকুল মন,
দূর পথে হাঁটি বুকে চেপে মাটি এমনি কাটুক ক্ষণ।
দখিন হাওয়া নিয়ে যাও কথা দিও তা প্রিয়ার কাছে,
জোনাকির আলো নাহি খেলা করে শূন্য স্বপন নাচে।
রাখালের মুখে আমি শুনি গান হিয়াতে পাওয়া দুখ,
আমারি মতন তার বুঝি হায় আঁড়ালে প্রিয়ার মুখ।
দখিনের বায়ু ছুটে চলে বেগে মেঘের পাহাড় নিয়ে,
আমি চেয়ে দেখি আকাশের গায়ে মেঘে থাকে বুঝি পিয়ে।
চোখ পেয়ে জল দেহ পরিমল ভেজে বরষার মতো,
ও মেঘের ব্যথা নেমে আয় বুকে তোরি দুখ নিয়ে যতো।
Thursday, May 3, 2018
ধিক্কার
কবি-ইউসুফ আউলিয়া
হাজার বছরের ব্যথা বুকে ধরে চুপ ছিলাম,
কিন্তু আর না
তোমার অত্যাচারে আমি জর্জরিত
হে মহা বৃক্ষ ; তোমার শাখা-প্রশাখার ছত্রছায়ায়
কে আমার ভাগ্যটা লিখল এমন করে?
হে মহা বৃক্ষ ; তুমি বৃহৎ আমি ক্ষুদ্র
আমি
তোমার অত্যাচারে জর্জরিত
কোন পথিক এলে বসে তোমার ছায়া তলে
আর পাতা ছিঁড়ে নিয়ে যায় আমার
বল তুমি যদি না থাকতে পথিক কি আসতো?
আর আমাকে ক্ষতবিক্ষত হতে হতো না।
তোমার জন্য আমি সূর্যের উত্তাপ ছিটেফোঁটাও পায়নে,
আমার অধিকার থেকে আমি বঞ্চিত
অপুষ্টি বাসা বেঁধেছে
আমার সারা অঙ্গ জুড়ে,
আমার দিন শুরু হয় তোমায় দেখে সন্ধ্যা আসে তোমায় দেখে
অথচ তুমি দেখতে পাও বিশাল আকাশ চন্দ্র সূ্র্য গ্রহ তারা নক্ষত্ররাজি
তোমার অঙ্গ থেকে পাতা খসে পড়লেও সেটা আমার ওপর বর্তায়
বৃষ্টির জলে তুমি যেভাবে স্নান কর সেটাও আমি পারিনে,
পারিনে তোমার মতো সারানিশি শিশির জলে ভিজতে
তারা ভরা জ্যোৎস্না আকাশ দেখতে।
হে মহা বৃক্ষ ; তুমি কি এ কথা জানো?
" বেশি বাড়লে ঝড়ে ভাঙে..."
তুমিও ভাঙবে যে দিন তুফান উঠবে হবে এক মহাপ্রলয়
তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে,
তুমি হারিয়ে যাবে
গভীর সুমদ্র স্রোত ধারায়।
তোমার প্রতি এই আমার চরম ধিক্কার
সেই দিন নেব আমি
বুক ভরে একটু স্বস্তির নিশ্বাস।
Subscribe to:
Posts (Atom)