কবি-আবুল কালাম আজাদ
কল্পলোকের গল্প তোরা
শুনবি কে কে আয়—
সে জগতে যেতে হতো
ময়ুরপঙ্খী নায় ||
রূপসুন্দরী একটা নারী
রাক্ষসেরা ধরে —
একপলকে নিয়ে গেল
সাতসাগরের পরে ||
সেই কুমারী আনবে ফিরে
যেমন করে হোক—
উদ্ধার অভিযানে নামে
সাহসী যুবক ||
সেকালে সব ছিল নাকি
হাওয়ায় চলা রথ—
ব্যাঙ্গমারাই চিনতো শুধু
কল্পলোকের পথ ||
ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীরা
পথের কথা বলে —
পঙ্খীরাজে চড়ে যুবক
হাওয়ায় উড়ে চলে ||
সাতসাগর আর তের নদী
পার হয়ে সে যায় —
পাতালপুরী পৌঁছে শেষে
ময়ুরপঙ্খী নায় ||
দিনের বেলা রাক্ষসেরা
যখন ঘুমের ঘোরে —
ফুড়ুৎ করে শুকপাখি এক
এলো হঠাৎ করে ||
শুকপাখি কয় নাই কোন ভয়
সুর্য উঠার পরে —
একসাথে সব রাক্ষসেরা
ঘুমায় দিনের তরে ||
সুরক্ষিত গোপন স্থানে
অনেক যতন করে —
প্রাণভ্রোমরা রাখে তারা
সিন্দুকের ভিতরে ||
সিন্দুকটা ডুবিয়ে দিলে
দম বন্ধ হয়ে–
একসাথে ঐ রাক্ষসেরা
মরবে ছটফটিয়ে ||
শুকপাখিটার কথামতো
যুবক সবই করে —
সাহসে ভর করে সকল
রাক্ষস সে মারে ||
রূপকুমারীর খাটে রাখা
সোনা-রূপার কাঠি—
উলট-পালট করলে মেয়ের
ঘুম হয়ে যায় মাটি ||
ঘুম টুটলে চমকে সে কয়
"এ কেমন বিস্ময় —
রাক্ষস সব করলে খতম
কে তুমি মশাই" !!
যুবক বলে বিনয় করে
"বলবো সবই পরে—
আগে চল দেশে ফিরি
পঙ্খীরাজে চড়ে " ||
জান কি সে যুবক নাকি
ছিল সিন্দাবাদ ?
তার অভিযান শুনে সবাই
বললো ' জিন্দাবাদ ' ||
No comments:
Post a Comment