লেখক-হাদিউল হৃদয়
সবুজের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার বেহুলা নদীর পাশেই। ছোটবেলা থেকে গ্রাম-গঞ্জে মানুষ হয়েছে। তার কাছে ভূতের ভয় নেই বললেই চলে। অনেকের মুখে শুনেছে সন্ধ্যার পর বেহুলার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে নাকি অশরীরীর দেখা মিলে। সবুজ কখনও এসব কথা বিশ্বাস করত না। ভয়ও পেত না।
একদিন সবুজ তার মামার বাড়িতে একটা কাজে, তার এক পরিচিত বন্ধুর মোটর সাইকেল নিয়ে যায়। ঐদিন বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বন্ধুর বাজারে কাজ ছিলো দেখে সবুজকে বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে নামিয়ে দেয় এবং জিজ্ঞেস করে সমস্যা হবে কি? না, বলে বাড়ির পথের দিকে হাঁটতে শুরু করেম। খুব দ্রুতই রাতের আঁধারে চারপাশ ঢেকে যাচ্ছে। সবুজের সাথে কোনও আলো নেই। তবে বাড়ির পথ খুব একটা দূরের নয়। বাকা পথে ২০ মিনিটের সময়। আর সোজা পথে ৩০-৪৫ মিনিটের। বাঁকা পথ একটু জঙ্গলা এবং বেশ কিছু জায়গাতে কবর আছে। কিন্তু সেইদিন বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের খেলা সন্ধ্যা ৭ টায় থেকে। খেলা শুরু হতে মাত্র ১০ মিনিট বাঁকি। সবুজ সময় বাঁচানোর জন্য বাকা পথ দিয়ে রওনা হলো। মনে মনে ভাবসে সবাই চলে এসেছে খেলা দেখতে একসাথে খেলা দেখার কথা ছিল। কাউকে দেখতে পাচ্ছি না পথে। প্রায় ৫-৬ মিনিট হাঁটার পর সবুজের মনে হচ্ছে তার পিছনে পিছনে কেউ আসছে। পিছনে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। আবার একটু পরে ঝোপের পাশে ধপ করে কি যেন । হঠাৎ সবুজ থেমে গেল। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলো না। কিছুই দেখতেও পারল না। ভয়ে ভয়ে আবার হাঁটতে শুরু করল। সবুজ অনেক সাহসী ছিলো।
রাস্তার দু পাশে ছিল ঝোপ। সবুজ পূর্বের পাশের ঝোপ উকি দিয়ে চমকে উঠলো। একটা সাদা কাপড় পড়া বেশ কিছু কঙ্কাল। একজন আরেক জনের হাত পা ভাঙ্গছে, কড়কড় করে কি যে খাচ্ছে এমন শব্দ সবুজের কানে বার বার ভেসে আসছে। ভয়ে ভয়ে সবুজ বলল, কে ওখানে? ওখানে কি হচ্ছে? বলার সাথে সাথে কঙ্কাল গুলো সবুজের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। দেখে সবুজ দৌড় দেয় এবং খানিকটা আসার পর অজ্ঞান হয়ে পরে থাকে রাস্তায়।
জ্ঞান ফেরার পর সবুজ দেখে বাড়ির উঠানে। সামনে এলাকার সব মুরুব্বী এবং গঞ্জের বড় হুজুর বসে আছেন। উনাদের কাছে শুনতে পায় রাতে রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে পাশের বাড়ির রহিম চাচা দেখতে পান। এরপর আরও মানুষের সাহায্যে বাসায় নিয়ে আসেন।
আর্শ্চয়ের ব্যাপার যে পরের দিন সবুজের বাড়ি থেকে একটু দূরে দুটি আধ খাওয়া গরুর মৃত দেহ পাওয়া যায়। গরু দুটার শরীরের বাকি অংশ পাওয়া গেলেও মাথা থেকে পেট পর্যন্ত ছিল না।
একদিন সবুজ তার মামার বাড়িতে একটা কাজে, তার এক পরিচিত বন্ধুর মোটর সাইকেল নিয়ে যায়। ঐদিন বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা হয়ে যায়। বন্ধুর বাজারে কাজ ছিলো দেখে সবুজকে বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে নামিয়ে দেয় এবং জিজ্ঞেস করে সমস্যা হবে কি? না, বলে বাড়ির পথের দিকে হাঁটতে শুরু করেম। খুব দ্রুতই রাতের আঁধারে চারপাশ ঢেকে যাচ্ছে। সবুজের সাথে কোনও আলো নেই। তবে বাড়ির পথ খুব একটা দূরের নয়। বাকা পথে ২০ মিনিটের সময়। আর সোজা পথে ৩০-৪৫ মিনিটের। বাঁকা পথ একটু জঙ্গলা এবং বেশ কিছু জায়গাতে কবর আছে। কিন্তু সেইদিন বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের খেলা সন্ধ্যা ৭ টায় থেকে। খেলা শুরু হতে মাত্র ১০ মিনিট বাঁকি। সবুজ সময় বাঁচানোর জন্য বাকা পথ দিয়ে রওনা হলো। মনে মনে ভাবসে সবাই চলে এসেছে খেলা দেখতে একসাথে খেলা দেখার কথা ছিল। কাউকে দেখতে পাচ্ছি না পথে। প্রায় ৫-৬ মিনিট হাঁটার পর সবুজের মনে হচ্ছে তার পিছনে পিছনে কেউ আসছে। পিছনে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। আবার একটু পরে ঝোপের পাশে ধপ করে কি যেন । হঠাৎ সবুজ থেমে গেল। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারলো না। কিছুই দেখতেও পারল না। ভয়ে ভয়ে আবার হাঁটতে শুরু করল। সবুজ অনেক সাহসী ছিলো।
রাস্তার দু পাশে ছিল ঝোপ। সবুজ পূর্বের পাশের ঝোপ উকি দিয়ে চমকে উঠলো। একটা সাদা কাপড় পড়া বেশ কিছু কঙ্কাল। একজন আরেক জনের হাত পা ভাঙ্গছে, কড়কড় করে কি যে খাচ্ছে এমন শব্দ সবুজের কানে বার বার ভেসে আসছে। ভয়ে ভয়ে সবুজ বলল, কে ওখানে? ওখানে কি হচ্ছে? বলার সাথে সাথে কঙ্কাল গুলো সবুজের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। দেখে সবুজ দৌড় দেয় এবং খানিকটা আসার পর অজ্ঞান হয়ে পরে থাকে রাস্তায়।
জ্ঞান ফেরার পর সবুজ দেখে বাড়ির উঠানে। সামনে এলাকার সব মুরুব্বী এবং গঞ্জের বড় হুজুর বসে আছেন। উনাদের কাছে শুনতে পায় রাতে রাস্তা দিয়ে ফেরার পথে পাশের বাড়ির রহিম চাচা দেখতে পান। এরপর আরও মানুষের সাহায্যে বাসায় নিয়ে আসেন।
আর্শ্চয়ের ব্যাপার যে পরের দিন সবুজের বাড়ি থেকে একটু দূরে দুটি আধ খাওয়া গরুর মৃত দেহ পাওয়া যায়। গরু দুটার শরীরের বাকি অংশ পাওয়া গেলেও মাথা থেকে পেট পর্যন্ত ছিল না।
No comments:
Post a Comment