Sunday, December 4, 2016

রস চুরি

কবি-মোঃ আবুল হোসেন 
 
চাঁদনী রাত,
কুয়াশার চাদরে যেনো ঢাকা প্রকৃতি ;
সারাদিনের রমজানের ক্লান্ত মুমিনদের আকৃতি।
বাড়ির পাশে হালিম চাচার খেজুর বাগানে ;
কোন ইবলিসের প্ররোচণায় মেতছি সেখানে।
হালিম চাচার ভাতিজা গাছে চড়তে পটু!
যদিও তার দেহের গঠন দেখতে একটু খাটো।
বাগানে পায়চারিরত সঙ্গি আরশাদ,
নিমিষেই করে দিলো সবই বরবাদ।
কারনে অকারণে সে খিলখিলিয়ে হাসে,
মন যেনো লেগে থাকে ওর সদা ফাঁটাবাঁশে।
কনকনে শীতে শেয়ালডাকা রাতে--
খেজুর রসে তৈরি পায়েসের লোভ ছিলো তাতে,
যদিও তিনজনের মনে ছিল ভয়,
উফ্ ! তবুও সেকি ছাড়া যায়?
ঘর হতে চাল চুরির মত অপরাধ,
চরিত্রে যে লেগে যাবে তারই অপবাদ।
তবুও কতইনা মধুর লাগে !
রস চুরি করতে গেলাম মনের আবেগে।
চুরি হলো রস ; হলো পায়েস রান্না!
কাচা রসের পায়েস যেনো রাজকীয় খানা!
গরম পায়েসের ধোঁয়ার সাথে কুয়াশার মিতালী।
প্লেটে প্লেটে চলছে পায়েস ঠান্ডা করার কৌশলী!
আচমকা! পিছনে কার কন্ঠ?
হালিম চাচার চেহারাটা দেখতে যেমন রুষ্ট।
কি করছিস এখানে তোরা?
ফোঁস ফোঁস করছে যেনো জলধোড়া!
গলা শুকিয়ে কাঠ, কন্ঠরোধ, ভাষাহীন,
আমরা যেনো সবাই কাঠগড়ায় আসীন।
হালিম চাচার প্রশ্নোত্তর জানা নেইতো আজ,
হালিম চাচার মাথায় যেনো পড়েছে কোনো বাজ।
সহিদ, তুই না আমার আপন ভাইস্তা?
আমার এত কষ্টের রস খেতে ধরলি চুরির রাস্তা?
আমার গাছের রস চুরি!
কঠোর হয়েও দমন করলেন নিজের জারিজুরি।
নিজের ভেতরের ক্ষোভটাকে দমন করলেন কষ্টে,
যাক বাবা! বেঁচে গেছি এবার বিধাতারই রিষ্টে।
চাচা এখন শয্যাশয়ী আপন ঠিকানার দৌড়ে,
আর, স্মৃতিরা এখন আমার মাথায় আসে ঘুরেফিরে।

No comments:

Post a Comment